“হে প্রভু, আমাকে তোমার পথ দেখাও, আমাকে তোমার পথসমূহ শিক্ষা দাও” (গীতসংহিতা ২৫:৪)।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগী দৃষ্টিতে জীবনযাপন করার মধ্যে এক ধরনের রূপান্তরমূলক শক্তি রয়েছে। যখন আমরা উপলব্ধি করি যে ঈশ্বর আমাদের ক্ষুদ্রতম প্রয়োজনগুলোরও যত্ন নেন, তখন আমাদের হৃদয় সত্যিকারের কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হয়। শৈশব থেকেই, তাঁর হাত আমাদের পথনির্দেশ করেছে — সবসময় আশীর্বাদে। জীবনের পথে আমরা যে সংশোধন পেয়েছি, বিশ্বাসের দৃষ্টিতে দেখলে, সেগুলোও আমাদের জীবনে প্রাপ্ত অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে প্রকাশিত হয়।
কিন্তু এই উপলব্ধি শুধু আমাদের কৃতজ্ঞ হতে শেখায় না — এটি আমাদের আজ্ঞাবহ হতে অনুপ্রাণিত করে। যখন আমরা পিতার অবিরাম যত্নকে স্বীকার করি, তখন বুঝতে পারি যে সবচেয়ে ন্যায্য প্রতিক্রিয়া হলো তাঁর শক্তিশালী আইনের অনুসরণ করা। সৃষ্টিকর্তার অসাধারণ আদেশগুলো কোনো বোঝা নয়, বরং এক অনন্য উপহার — এগুলো আমাদের জীবন, জ্ঞান ও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের পথ দেখায়।
যে ব্যক্তি এই আজ্ঞাবহতার পথে চলে, সে প্রভুর আলোয় বাস করে। এবং এই বিশ্বস্ততার স্থানে পিতা আমাদের আশীর্বাদ করেন এবং আমাদের তাঁর প্রিয় পুত্রের কাছে পাঠান, যেন আমরা ক্ষমা ও পরিত্রাণ লাভ করি। আমাদের ঈশ্বরের প্রতি আজ্ঞাবহ থাকার চেয়ে নিরাপদ, পরিপূর্ণ ও সত্য কোনো পথ নেই। -হেনরি এডওয়ার্ড ম্যানিং-এর থেকে অভিযোজিত। আগামীকাল আবার দেখা হবে, যদি প্রভু চান।
একসাথে প্রার্থনা করুন: প্রিয় পিতা, আমার জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটিতে তোমার উপস্থিতি দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। প্রতিটি ছোট যত্নের জন্য, প্রতিটি মুহূর্তের জন্য যখন তুমি আমাকে সমর্থন করেছ অথচ আমি তা বুঝতে পারিনি — তার জন্য ধন্যবাদ। আজ আমি স্বীকার করি, আমার যা কিছু আছে, সবই তোমার হাত থেকে এসেছে।
আমি চাই, আমি যেন তোমার ইচ্ছা সম্পর্কে আরও সচেতনভাবে জীবনযাপন করি। আমাকে একটি আজ্ঞাবহ হৃদয় দাও, যে শুধু কথায় নয়, কাজে-কর্মেও তোমাকে মহিমা দেয়। আমার জীবন যেন বিশ্বস্ততা ও তোমার অপূর্ব পথসমূহে চলার দৃঢ় সিদ্ধান্তে চিহ্নিত হয়।
প্রভু, আমি চাই তোমাকে সম্পূর্ণ হৃদয়ে অনুসরণ করতে। তোমার প্রিয় পুত্র আমার চিরন্তন রাজপুত্র ও উদ্ধারকর্তা। তোমার শক্তিশালী আইন আমার পদক্ষেপকে পরিচালিত করে এক অবিচল ও সুরেলা সঙ্গীতের মতো। তোমার মহিমান্বিত আদেশগুলো আমার পথে রোপিত অমূল্য মুক্তার মতো। আমি যীশুর মহামূল্য নামের মাধ্যমে প্রার্থনা করি, আমেন।