“তুমি তোমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে সদাপ্রভুর উপর ভরসা করো, এবং নিজের বুদ্ধির উপর নির্ভর করো না; তোমার সমস্ত পথে তাঁকে স্বীকার করো, এবং তিনি তোমার পথগুলো সোজা করে দেবেন” (নীতি বাক্য ৩:৫–৬)।
অনেকেই তাদের জীবনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে উদ্বিগ্ন থাকেন, যেন ঈশ্বর কোনো মহান গোপন রহস্য লুকিয়ে রেখেছেন যা উন্মোচন করতে হবে। কিন্তু পিতা কখনোই আমাদের ভবিষ্যৎ জানার জন্য বলেননি — কেবলমাত্র বর্তমান সময়ে তাঁর আদেশ মানতে বলেছেন। ঈশ্বরের পরিকল্পনা ধাপে ধাপে প্রকাশিত হয়, যখন আমরা বিশ্বস্ততার সাথে এগিয়ে যাই। যে ব্যক্তি ছোট ছোট বিষয়ে বিশ্বস্ত, তাকে সময়মতো বড় বিষয়ে পরিচালিত করা হবে।
জ্ঞানী দাস আগামী দিনের চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয় না। সে প্রতিদিন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের মহিমান্বিত আদেশ অনুসারে জীবনযাপন করার চেষ্টা করে, তার সামনে থাকা দায়িত্ব ভালোবাসা দিয়ে পালন করে। যখন পিতা তাঁর কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে চান, তখন তিনিই তা করবেন — কোনো বিভ্রান্তি, কোনো তাড়াহুড়ো, কোনো ভুল ছাড়াই। ভবিষ্যতের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা আজকের আনুগত্য থেকেই শুরু হয়।
তাই, হৃদয়কে শান্ত করো। প্রতিটি বিশ্বস্ততার দিনই ঈশ্বরীয় মিশনের সিঁড়ির একটি ধাপ। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে এবং মান্য করে, সে বিশ্রাম নিতে পারে, কারণ যিনি সূর্য ও তারাগুলিকে পরিচালনা করেন, তিনিই তাঁর প্রেমিকদের পদক্ষেপও পরিচালনা করেন। J. R. Miller-এর লেখা থেকে অভিযোজিত। আগামীকাল আবার দেখা হবে, যদি সদাপ্রভু চান।
একসাথে প্রার্থনা করুন: প্রিয় পিতা, আমি তোমার প্রশংসা করি কারণ তোমার পরিকল্পনা পরিপূর্ণ এবং তোমার সময় সর্বদা সর্বোত্তম। আমাকে শান্তি ও বিশ্বাসের সাথে চলতে শেখাও, যেন আমি আজ তোমার আদেশ মান্য করি এবং আগামী দিনের ভয় না করি।
হে প্রভু, আমাকে তোমার মহিমান্বিত আদেশ অনুসারে জীবনযাপন করতে সাহায্য করো, যাতে আমার প্রতিটি পদক্ষেপ তোমার পথে বিশ্বাস ও ধৈর্য প্রকাশ করে।
হে প্রিয় ঈশ্বর, আমি তোমাকে ধন্যবাদ জানাই কারণ তুমি জ্ঞান ও ভালোবাসা দিয়ে আমার পথ পরিচালনা করো। তোমার প্রিয় পুত্র আমার চিরন্তন রাজপুত্র ও উদ্ধারকর্তা। তোমার শক্তিশালী আইন আমার যাত্রার মানচিত্র। তোমার আদেশ আমার জন্য নিরাপদ পদচিহ্ন, যা আমাকে তোমার ইচ্ছার পথে নিয়ে যায়। আমি যীশুর মহামূল্যবান নামে প্রার্থনা করি, আমেন।
























